আরসিসি দিয়ে সমতল ছাদ বা ফ্লোর বা মেঝে তৈরি করা হলে তাকে স্ল্যাব বলে । নির্মাণ কৌশলের উপর ভিত্তি করে স্ল্যাবকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়—
দ্বি-মুখী সলিড প্ল্যান (Two Way Solid Slab): যে সমস্ত স্ল্যাবের দৈর্ঘ্য গ্রন্থের অনুপাত দুই বা দুই এর কম হয় সেসব ক্ষেত্রে দ্বি-মুখী সর্দি প্ল্যাব ডিজাইন করা হয়। এতে স্ল্যাবের দুই দিকেই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ বরাবর প্রধান রড বসানো হয় ।
ফ্লাট স্ল্যাব (Flat Slab): এটি এক প্রকার নিম ছাড়া প্ল্যাব, কিন্তু কলামের উপরে, প্ল্যানের নিচে বর্গাকার বা বৃত্তাকার ক্যাপিটাল (Capital) বা মাথা থাকে ।
ফ্লাট প্লেট (Flat Plate): এটিও এক প্রকার বিম ছাড়া স্ল্যাব, এতে কোনো বিষ বা ক্যাপিটাল (Capital) বা মাথা থাকে না। স্ল্যাবটিই বিমের মত করে ডিজাইন করা হয়।
রিবড স্ল্যাব (Ribbed Slab): যখন স্প্যান অনেক বড় হয়ে যায় এবং কাঠামোর নিজস্ব ওজন বেড়ে যায় তখন কাঠামোর লোড কমানোর জন্য একটু পরপর ছোট। ছোট বিম তৈরি করে এর উপরে পাতলা ছাদ তৈরি করা হয়।
ওয়াফল স্ল্যাব (Waffle Slab ) : রিবড স্ল্যাবের মত, যখন দুই দিকে একটু পরপর আড়াআড়ি বিম তৈরি করে মাঝে। বর্গাকার ফাঁকা অংশের উপরে পাতলা ছাদ ঢালাই করা হয় তাকে ওয়াফল স্ল্যাব (Waffle Slab ) বলে। যখন বিম দিরে তৈরি বক্সের বা বর্গাকার অংশের এর উপরে কোনো ছাল থাকে না বা ফাঁকা থাকে তাকে পারগোলা বলে।
Read more